বাংলাদেশ একটি কনসারভেটিভ দেশ, তবে বর্তমানে এদেশের সেক্স কালচার অনেক ফাস্ট, অনেক কম বয়স থেকেই ছেলে মেয়েরা সব কিছু জানে, বুঝে এবং করে ( বিশেষ করে শহরে )। কিন্তু সেক্সের এট্রাকটিভ দিক গুলোতেই সবার সাভাবিক ভাবেই আকর্ষন বেশি এবং এসব সমন্ধে জানার আগ্রহ থাকে, বেশি। তবে সেকসু্যাল সমস্যার বেপারে রয়ে গেছে ভয়ানক অগ্যতা, এবং যা জানা থাকে তার বেশিরভাগি ভুল তথ্য। আমি এই পোস্টে এইডস এর বেপারে কোনো আলোচনা করবো না কারন বিদেশি ফান্ডের সুবাদে এই সমন্ধে যথেষ্ঠ প্রচারনা হয়। কিন্তু এইডস হচ্ছে একটি রেয়ার প্রবলেম, এর থেকে কমন কমন সমস্যা সমন্ধে বেশিরভাগ মানুষের কোন আইডিয়া নাই, যেসব সমস্যা ঘরের কাছের সমস্যা। আর কমন সমমস্যার নিয়ে অনেক আরটিকেল পেপার মেগাজিনে পরলেও এর সঠিক মেডিকাল সমাধান খুব কমি পরসি। তাই আমি চেষ্টা করবো কমন লেংগুয়েজে শুধু মাত্র মোস্ট কমন কারোন গুলো উল্যেখ করার এবং সহজ সমাধান গুলো তুলে ধরার চেস্টা করলাম। ছেলেদের কমন সেকসুয়াল সমস্যা এবং তার সমাধান।
ছেলেরা যেই বেপারে সবচাইতে বেশি চিন্তিত থাকে সেটা হচ্ছে ইরেকশন প্রবলেম। যদিও এই সমস্যা মধ্যবয়সিদের মাঝে বেশি দেখা দেয়, কিন্তু অনেকগুলো কারোনের জন্য দেশের যুবক শ্রেনিদের মাঝেও এখন এই সমস্যা টা একটি বরো সমস্যা।
ধুমপান: ইউথ ইমপোটেন্স বা যুবকদের যৈন অক্ষমতার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধুমপান, বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ধুমপান করে যা নাকি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা হাইয়েস্ট। দেশে অনেক আজিরা কথা প্রচলিত আছে যেমন গোল্ড লিফ খেলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়, আর বেনসন খেলে তেমন একটা খতি হয় না। ইটস আ বুলশিট। নিকোটিন সব সিগারেটেই আছে কম বেশি আর সিগারেটের অন্যান্য খতিকারক কেমিকাল গুলো সব সিগারেটেই সমপর্যায়ে থাকে। যেসবের কারনে পেনিসের রক্তনালি সংকচিত হতে থাকে।
স্ট্রেস: এটি পশ্চমা দেশ গুলোতে ইমপোটেন্সের প্রধান সমস্যা তবে দেশেও এটি একটি উল্যেখযোগ্য কারন। বিভিন্য কারনে যদি মাথায় বিভিন্য ধরনের টেনশন থাকে তাহলে ব্রেইন সেক্সের দিকে যথেষ্ঠ এটেনশন দিতে পারেন না। আপনার যদি সেক্স করার সময় ( এনাফ ) ইরেকশন না হয়ে থাকে, কিন্তু মর্নিং ইরেকশন ঠিক থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ফিসিকাল পাওয়ার ঠিকি আছে কিন্তু স্ট্রেস বা অন্য কোন মানসিক সমস্যার কারনে মেন্টাল কনসেনট্রেশন টা নেই। ড্রাগস: ড্বাগসের মধ্যে বিশেষ করে হেরোইন এর জন্য ইমপোটেন্স হতে পারে। কোকেইন সেবনে প্রথম দিকে সাময়িক ইরেকশন হলেও পরে সেটা আর হয় না এবং উল্টো খতি করে।
ওভার এক্সপেকটেশন: এটি আসলে কোন সমস্যা না। এটি ভুল বুঝা বা জানার জন্য হয়। সেক্স কালচার বেশি অপেন হওয়াতে পর্ন দেখে বা মৈখিক মিথ্যরচনার কারনে দেশ বিদেশ সব খানেই সেক্স পাওয়ার সমন্ধে ৯০ ভাগ মানুশের একটি ভুল ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই বেপারে দেখা যায় যে মানুশ মনে করে তার হয়তো সেক্স পাওয়ার কম, কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে কোনকিছু ধরা পরে না ( যদিও দেশের ডাক্তাররা অযথা অনেক টেস্ট করাবে)। ডাক্তার জিগ্যেশ করার পর দেখা যায় তার সেক্সয়াল একটিভিটি নর্মালি আছে, কিন্তু পেশেন্ট সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। মানুস মনে করে যে ডেইলি এবং লং এনাফ সেক্স করতে না পারাটাই অক্ষমতার লক্ষন। আবার অনেকে তার পেনিসের লেনথ নিয়ে খুশি নয়। এসব হচ্ছে অযথা টেনশন, পর্ন মুভিতে যা দেখানো হয় সেটা নর্মাল সেকসুয়াল একটিভিটি নয়। আপনার বউ ( সেক্সুয়াল পার্টনার) কে জিগ্গেশ করুন যে সে সেটিসফাইড নাকি, তাহলেই কিস্সা খতম। এক্সেসিভ পর্ন দেখার বদৈলতে আবার নিজের বউ বা সেকসুয়াল পার্টনারের প্রতি এট্রাকশন কমে যায় অনেকের।
জেনে রাখা ভালো, এভারেজ সেক্সয়াল ফ্রিকয়েন্স হলো সপ্তাহে ৩ বার।
ডিইরেশন ১৫ মিন। পেনিস লেনথ রেস অনুযায়ি ভেরি করে। ইউরোপ এমেরিকা: ১৪,৫ সে. মি. চায়না/ জাপান: ১২ সে.মি. সাবকন্টিনেন্ট ( ইন্ডিয়া/ বাংলাদেশ): ১৩ সে.মি. থেরাপি:
সবচে এফেকটিভ থেরাপি হচ্ছে চেন্জ অফ লাইফ স্টাইল
-ধুমপান বন্ধ করুন। বেপারটি খুবি কঠিন, এই বেপারেও আপনি সঠিক মেডিকাল গাইড পেতে পারেন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে।
-যথেষ্ঠ বেয়াম করুন। ফিসিকাল মুগমেন্ট ভায়াগরা বা অন্যান্য অষুধ থেকে অনেক বেশি এফেকটিভ, বিশেষ করে ইয়াং দের জন্য। -সেক্স বেপারটাকে স্পোর্টসের মতন দেখবেন না যে এটা তে আপনাকে ফার্সট প্রাইজ আনতেই হবে। বাট হালকা / রিলেক্স ভাবে নেন দেখবেন ফার্সট প্রাইজ থেকা বেশি এনজয় পাচ্ছেন।
-ভায়াগ্রা থেরাপি ডাক্তারের পরামর্শ ছারা শুরু করবেন না। এতে সাময়িক উপকারিতা পেলেও লং টার্মের জন্য এফেকটিভ থেরাপি নয়। -আল্টারনেটিভ ( ফুটপাথের সপ্নে পাওয়া ) ওৈষধ থেকে ১০০ মাইল দুরে থাকুন )
মেয়েদের কমন যৈন অক্ষমতার সমস্যা:
মেয়েদের যৈন অক্ষমতার বেপারে রয়েছে আরো বেশি নলেজের অভাব। এটা যে হয় সেটাই ৯০ ভাগ মানুশ জানে কিনা সন্দেহ আছে, এমনকি স্বয়ং মেয়েরাও জানে না অনেক সময়। দেশে আমি এই পর্যন্ত কোথাও এই বেপারে কোনো আরটিকেল দেখি নাই।
ভাজাইনাল ড্রাইনেস এবং পেইনফুল ইন্টারকোর্স:
মেয়েদের বেলায় সেক্সুয়াল এরাউসালের ( যৈন উত্যেজনার ) সময় লুব্রিকেশন (যোনিরস) হয় যার ফলে ভাজায়না ভিজে যায় এবং সেক্স করতে ( পেনিস ঢুকতে ) সুবিধা হয়। লুব্রিকেশনের বেশির ভাগ ফ্লুইড (রস) ভাজাইনার দেয়াল থেকে নির্গত হয় তবে ছোট একটি গ্লেন্ড ( থলি )থেকেও কিছু বর হয়। অনেক মেয়েদের সমস্যা দেখা দেয় যে লুব্রিকেশন হয়না বা সময়মত হয়না, যার ফলে সেক্স এনজয়ের বদলে পেইনফুল হয় ( পেইনফুল ইন্টারকোর্স)।বেশিরভাগ মেয়েরা সেটা তার হাসবেন্ড কে জানায় না নিজের অক্ষমতা মনে করে। কিনতু এখানে খোলামেলা কথা না বললে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভাজাইনাল ড্রাইনেসের সবচে বরো কারনটা আসলে ছেলেদেরই দোষ। ইন্টারকোর্স ( ভাজিনাতে পেনিস প্রবেশে) এর পুর্বে যথেষ্ঠ স্টিমুলেশন ( যৈন উত্যেজনা ) না থাকলে লুব্রিকেশন সময় মতন হয় না। ইন্টারকোর্সের আগে যথেষ্ঠ সময় আর এটেনশন নিয়ে সেক্সয়াল স্টিমুলশন ( কিসিং, সাকিং ) করলেই বেশিরভাগ বেলায় এর সমাধান সম্ভব। ছেলেদের যেমন পেনিসে রক্তনালিতে ফেট ( চর্বি ) জমার কারনে ইমপোটেন্সি হয় তেমনি মেয়েদের বেলাতেও তেমনি ভাজাইনাল ব্লাড ভেসেলের ( রক্তনালিতে ) চর্বি জমলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্লাড ভেসেলের চর্বি কমানোর চেস্টা করতে হবে। ফেট কম খাওয়া, বেয়াম করা, সিগারেট না খাওয়া হল এর উপায়।
আর্টফিসিয়াল লুব্রিকেশন: এরপরেয় যদি এনাফ লুব্রিকশন না হয় এবং সেক্স পেইনফুল হয় তাহলে আর্টিসিয়াল লুব্রিকেশন ( নকল যোনিরস) ইউজ করা যায়। দেশের মেয়েরা সাধারনত তেল বা ভেসলিন ইউজ করে থাকে কিন্তু এতে সমস্যা হচছে যে বেশি ইউজ করলে ভাজাইনার নরমাল বেকটেরিয়াল ফ্লোরা ( শরিরের জন্য উপকারি বেকটেরিয়া ) নষ্ট হয় এবং তাতে ঘন ঘন ভাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। এর জন্য স্শেপয়াল আর্টিফিসিয়াল লুব্রিকেশন পাওয়া যায় যা নাকি ঘন পানির মতন হয়। ( বাংলাদেশে আছে কিনা জানিনা )। যদি তেল বা ভেসেলিন ইউজ করা হয় তাহলে সেটা সেক্সের পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
0 comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.