আমি হিলি বর্ডারে মাল খেতে যাই প্রতি মাসে একবার। সাধারনত ২৭ বা ২৮ তারিখে যাই। চারদিন থেকে চলে আসি। এটা কোন মাসের কথা বলছি মনে নেই।হানিফে উঠেই আমার মাথা ঘুরে গেলো। একদম প্রথম সিটেই একটা মাল বসেছে। বয়স হবে ৩৫ বা কাছাকাছি। লাল শাড়ি পরেছে। পাতলা। আমি বেশিক্ষন তাকাতে পারিনি। মালটাকে আবার দেখার জন্য আমি আমার সিটে ব্যাগ রেখে আবার নামলাম। একচক্কর ঘুরে আবার উঠলাম। হালকা মেজাজে। ধীরে সুস্থে। মালই একটা। ওরে চোদা দশ মিনিটের ব্যাপার। লাল শাড়িটা এমন ভাবে পড়া কি বলব। মোবাইলে কথা বলছে। হাতটা উচু ছিল, পেটের একাংশ সহজেই দেখা যাচ্ছিল। চেয়ার কোচ গুলোতে ড্রাইভারের সিটের পেছনে স্টিলের গোল পাইপের পার্টিশন দেয়া থাকে। মহিলাটা পা রেখেছে সেই পাইপে। পায়ের কাপড় গোড়ালি থেকে একটু উপড়ে উঠে এসেছে। আচ্ছা আপনারা তো লাল শাড়িতে ফর্সা মেয়েকে কেমন লাগে দেখেছেন, তাই না? তার ফর্সা পেট আর পায়ের উপরাংশ দেখে আমি গরম হয়ে গেলাম। আমি বারবার ভাবলাম কিছু করার স্কোপ আছে? কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম ওর সাথে কথা বলে একটু মিশতে পারলে ওকে বেডে নেয়া কোন ঘটনা না। ওর পাশের সিট টা খালি ছিল। সে নিশ্চই একা আসে নি। হয়তো ফোনে তার সাথেই কথা বলছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আবার ব্যাপারটা কে বাদ ও দিতে পারছিলাম না। কারন মালটা সেই রকম ছিল।সারাক্ষন আমার মাথায় সে ছিল। আমি ছিলাম ডি ১ । বার বার উকি দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম কে পাশে বসে দেখার জন্য। কিন্তু না। কেউ এলো না। আমি ভাবলাম হয়তো পরের কোন কাউন্টার থেকে উঠবে। কিন্তু আমি অবাক হলাম যখন সিরাজ গঞ্জ আমাদের কোচের ব্রেক দিল নাস্তা করার জন্য তখন ও সে একা। আমি ভাবলাম না। সুযোগ টা হাত ছাড়া করা যাবে না। আমি ভাবতে লাগলাম। কি করা যায়। খুব বেশি বাভার দরকার নেই। কিছু সাজানো কথা বার্তাই আছে, যা একেক ধরনের পরিস্থিতে ব্যবহার করা হয়। আমি ভাবছিলাম কোনটা কাজে লাগাবো। কোনটা কাজে লাগালে কাজ ভালো হবে। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। আমরা তখন বগুড়া। আমি একটা প্লান মাথায় নিয়ে সিট ছেড়ে উঠলাম।
0 comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.